জনপ্রিয় ফল আম নিয়ে কিছু কথা

আম

বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ফলের মধ্যে আম হলো অন্যতম একটি। আম খায় না এমন মানুষ নেই বলেলেই চলে। বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে অর্থকারি ফল হলো আম। বাংলাদেশে আমের চাষ হয় অনেক যায়গায়। বিশেষকরে আম চাষে এগিয়ে আছে এবং অনেক লাভবান হচ্ছে চাপাইনবাবগন্জ,রাজশাহীর আম বাগানীরা। 

এছাড়াও বাংলাদেশের আরও অনেক যায়গায় আমের চাষ হয়। আবার গ্রাম গন্জের প্রত্যেকটি বাড়িতে রয়েছে একাধিক আম গাছ, তারা ফলের চাহিদা মেটাতে অন্যান্য ফল গাছের চাইতে তুলনামূলক বেশি আম গাছ রোপন করে থাকে। অনেক আম বাগানীরা আছে যারা অন্যান্য আবাদি ফসলের বদলে আমকে তাদের বাৎসরিক ফসল হিসেবে বেছে নিয়েছে। 

কারন তারা সারা বছর জুড়ে এই আম বাগানকে নিজের ছোট বাচ্চার মতো করে আদরে যত্নে ভরে রাখে, পরিচর্যার কোন ক্রূটি রাখে না। অনেক কষ্ট করে তারা সারা বছর, অনেক টাকাও খরচ করে একটা বাগানের পেছনে, এবং আমের মুকুল আশা থেকে শুরু করে আম পাকা অব্দি একটা আম বাগানী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যায় তাদের কাক্ষিত ফলাফল পাবার জন্যে। বছর শেষে যখন সৃষ্টিকর্তা তাদের মন মতো ফলন দেয় তখন তারা অনেক খুশি হয় এবং প্রত্যেক আম বাগানীর ঘড়ে ঘড়ে ঈদ আনন্দের মতো উল্লাস চলে। 

আম সম্পের্ক তো জানলাম চলুন এবার আম কেন খাবো বা আম খাবার সাস্থ্য উপকারিতা কি কি জেনে নিই----

👉 অনেকের সকালে উঠে বমি  ভাব হয়, সকালের বমি বমি ভাব দূর করে ।

👉 দুপুরে খাবার পর অনেকের ঝিমুনি ভাব আসে সেই ঝিমুনি ভাব দূর করে।

👉 যকৃত রোগের সমস্যা দূর করে। এবং যাদের এই রোগ আছে তাদের প্রতিদিনের বন্ধু হতে          পারে কাঁচা আম।

👉 ঘামাচি প্রতিরোধ করে।

👉 শরিরের লবনের ঘাটতি দূর করে।

👉 রক্তের সমস্যা দূর করে।

👉 শরিরের ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।

👉 শরিরে আঁশ জাতিয় খাবারের চাহিদা মেটায়।

👉 হৃদপৃন্ড ভালো রাখে।

 এছাড়াও আরও অনেক উপকারিতা আছে পাকা/কাঁচা আমে। 

ডাক্তারদের মতে আম খাওয়া শরিরের জন্য অনেক উপকার কিন্তু পরিমান মতো এবং নিয়োম মতো খেতে হবে। 

আম খাবার সাস্থ্য উপকারিতা সম্পের্ক তো জানলাম চলুন এবার আমরা আম কেনো খাবো না বা আম খাবার অপকারিতা কি কি জেনে নিই----

  •  যেহেতু এটি প্রাকৃতিক চিনির একটি সমৃদ্ধ উৎস, তাই এর উচ্চ মাত্রায় গ্রহণের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি করে আম খাওযার পরামর্শদেওয়া হয় না। যাইহোক, এটিও সত্য নয় যে একজন ডায়াবেটিস রোগীর মিষ্টি ফল এড়ানো উচিত কারণ তারা ডায়াবেটিসে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু ফল অন্যদের তুলনায় বেশি চিনি থাকে, তবে এটি মোট পরিমান কার্বোহাইড্রেট যা একজনের রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর এই ফলটি 83 গ্রাম পর্যন্ত খেতে পারেন। অতিরিক্ত খাবার কারনে ডায়াবেটিস রোগীর নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।                                                                                                              
  • আমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, যার ফলে অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।   
  • যাদের অতিরিক্ত এলার্জি আছে তাদের অতিরিক্ত আম খেলে এলার্জির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।                                                                                                                                      
  •  আমে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি রয়েছে যা আপনার শরিরের জন্য ক্ষতি নয়। কিন্ত অতিরিক্ত খেলে আপনার শরিরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।                                                     
  • বেশি আম খেলে শরিরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় তাই যাদের হাই- প্রেশার আছে তাদের আম না খাওয়াই ভালো তবে খেলেও দিনে একটার বেশি খাওয়া যাবে না। 

কিন্তু আপনি যদি যথাযথ পরিমান মতো আম খান তাহলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না। আমাদের জনপ্রিয় ফলের মধ্য আম যেহেতু একটি তাই আমাদের সকলের কাছে আম খেতে ভালো লাগে, তাই আমরা আম খাবো কিন্তু পরিমান মতো এবং উপরোক্ত বিষয় গুলোর উপর মনোযোগি হবো তাহলে আম আমাদের কোন ক্ষতির দিক হবে না। 

লেখকের কিছু কথা

পরিশেষে বলতে চাই আমার মনে হয় এই পোষ্টটি পরে আপনার অনেক উপকারে হলো , যদি সত্যি আপনার কোন উপকার হয় তাহলে অবশ্যই কমন্টে করে যানাবেন এবং এই পোষ্টটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে সেটাও যানাবেন। বিশেষকরে আপনার কাছের মানুষদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। অবশ্যই তাদেরও কোন উপকারে আসবে এই পোষ্টটি ধন্যবাদ। 

Post a Comment

0 Comments